ডাঃ আহমেদ মোস্তফা নোমান: পাবনা জেলা বিএনপির সক্রিয় নেতা

ডাঃ আহমেদ মোস্তফা নোমান বাংলাদেশের পাবনা জেলার একজন পরিচিত রাজনীতিবিদ এবং ডাক্তার। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সক্রিয় নেতা হিসেবে কাজ করছেন। বর্তমানেও তিনি পাবনা জেলা বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য[1]। অতীতে তিনি জেলা বিএনপির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন[2]। চিকিৎসাজীবনের পাশাপাশি তিনি পাবনা জেলা ডাক্তার সমিতি (ড্যাব)–এর সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন[3]। এসব পদ ও সংগঠন নির্দেশ করে যে মোস্তফা নোমান পাবনার রাজনীতিতে একটি সুপরিচিত নাম।

· পাবনা জেলা বিএনপির সদস্য[1]।

· সাবেক জেলা বিএনপি সদস্য সচিব[2]।

· পাবনা জেলা ডাক্তার সমিতি (ড্যাব)–এর সাধারণ সম্পাদক[3]।

স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও অবদান

আহমেদ মোস্তফা নোমান পাবনায় নিয়মিতভাবে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন এবং বক্তৃতা দেন। উদাহরণস্বরূপ, ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে পাবনা জেলার ১৯৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শিলপকলা একাডেমিতে এক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় যেখানে ডাঃ নোমান বক্তৃতা দেন[4]। এছাড়া জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে (৭ নভেম্বর) পাবনায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও পথসভায় অংশগ্রহণ করে নেতৃত্ব দিয়েছেন[2]।

তিনি পাবনায় গণতান্ত্রিক আন্দোলনেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে সরকারবিরোধী অসহযোগ আন্দোলন ও ভোট বর্জনের অংশ হিসেবে মালঞ্চি বাজারে বিএনপির পক্ষ থেকে লিফলেট বিতরণ করেন[3]। একই মাসে পাবনা-বাংলাদেশ মহাসড়কে (ঢাকা-পাবনা সড়ক) মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্ব দেন[5][6]। এসব কর্মসূচিতে জেলা ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলসহ বিপুলসংখ্যক যুবনেতা ও কর্মী উপস্থিত ছিলেন[7][6]। গত কয়েক বছরে তিনি প্রত্যেক বছর জেলা ও স্থানীয় পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে আসছেন। ১৩ জুলাই ২০২৫ তারিখে পাবনা-৩ আসনের ধানের শীষ প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী হাসান জাফির তুহিনের সমর্থনে চাটমোহরে আয়োজিত এক সমাবেশেও উপস্থিত ছিলেন[8]। এই সভায় স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা ছিলেন এবং নোমানকেও ‘সাবেক পৌর সদস্য সচিব’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল[8]।

উল্লেখযোগ্য কর্মকাণ্ডের মধ্যে আবহমান ওষুধের কপি দ্রব্য উদ্ধার, বন্যা মোকাবেলা সহ বহু সামাজিক উদ্যোগেও পাবনা জেলা বিএনপি’র দলীয় নেতাদের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন। ২০২৫ সালের নির্বাচনী প্রস্তুতি সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে নোমান সংবাদ সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত থেকে দলীয় সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেন[9]।

বক্তব্য ও প্রত্যয়

ডাঃ নোমান প্রায়ই জনসমক্ষে বক্তব্য দিয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটাধিকার ও নিপীড়িত মানুষের দাবি তুলে ধরেন। উদাহরণস্বরূপ, ভোট বর্জনের কর্মসূচির সমর্থনে তিনি বলেন, “আপনারা আসন্ন ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে কেউ ভোটকেন্দ্রে যাবেন না… আপনারা এই নির্বাচন বর্জন করুন”[10]। বিক্ষোভ মিছিলে তিনি আরও বলেন, “নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে… এটা শুধু বিএনপি’র কর্মসূচি নয়, যারা দেশের গণতন্ত্র থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, তাদের সবার কর্মসূচি”[11]। মিছিলের সময় তিনি শান্তিপূর্ণতা বজায় রাখার আশ্বাস দিয়ে বলেন, “এ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করা হবে”[12]।

এসব বক্তব্য থেকে বোঝা যায় যে, নোমান সরকারবিরোধী আন্দোলনকে সমর্থন করেন এবং দেশে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি রক্ষার ব্যাপারে দৃঢ় অবস্থান নেন। এছাড়া স্থানীয় সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলনে তিনি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, নির্বাচন প্রক্রিয়া সংক্রান্ত মতামত প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশি গণমাধ্যমে তিনি তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার স্থানীয় জনগণের সামনে দেখানোর উদ্যোগ নিয়ে প্রশংসিত হয়েছেন বলে সামাজিক গণমাধ্যমে জানা গেছে (যদিও সরাসরি সূত্রে এটি পাওয়া যায়নি)।

স্বীকৃতি ও জনপ্রিয়তা

নোমানকে পাবনা জেলা বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংগঠনে একজন তরুণ এবং নিবেদিত কর্মী হিসেবে দেখা হয়। তাকে প্রায়ই বিএনপি’র যুব সংগঠন—যেমন ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচিতে দেখা যায়[7][6]। উদাহরণস্বরূপ, সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা ও মিছিলগুলোতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ইয়ামিন খান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আমিনুল ইসলামসহ অসংখ্য যুবনেতার সঙ্গে তিনি মঞ্চে ছিলেন[7][6]। এসব ঘটনায় স্থানীয় গণমাধ্যম তাকে ‘পাবনার গর্ব’ এবং ‘প্রশিক্ষিত কর্মী দলের প্রাণ’ হিসেবে সম্বোধন করেছে বলে প্রচার থাকলেও (সামাজিক মাধ্যমে), খবরের সূত্রে তাকে একজন নির্ভরযোগ্য জেলা নেতা হিসেবে তুলে ধরা হয়।

স্থানীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, তিনি জেলা বিএনপির একজন নিয়মিত মুখ[1]। ভয়েস৭ নিউজ প্রতিবেদনে তার নাম শীর্ষ নেতাদের তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছিল[8]। এসব ইঙ্গিত দেয় যে জেলা নেতাদের মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতা ও পরিচিতি রয়েছে। অভ্যন্তরীণ জেলা সমাবেশে তাঁর অংশগ্রহণ এবং বক্তব্য জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা প্রকাশ করে[8]।

ডাঃ আহমেদ মোস্তফা নোমান পাবনার একজন প্রভাবশালী বিএনপি নেতা হিসেবে পরিচিত। তিনি জেলা বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং ডাক্তার সমিতির সাধারণ সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন[1][3]। সমাজের উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার দাবিতে তিনি নিয়মিত মিছিল-সমাবেশে নেতৃত্ব দেন[7][15]। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অসহযোগ আন্দোলন, অবরোধ সমর্থন ও নির্বাচনী প্রতিবাদের মতো কর্মসূচিতে তাঁর অংশগ্রহণ নজর কেড়েছে[3][5]। জনমত ও গণমাধ্যমের খবরে তাকে একজন সাহসী ও প্রগতিশীল কর্মী হিসেবে তুলে ধরা হলেও কোন গুরুতর আইনি মামলার স্বীকার বা অপরাধের রেকর্ড এ বিষয়ে পাওয়া যায়নি[13]। সামগ্রিকভাবে, প্রাপ্ত সূত্র অনুযায়ী ডাঃ নোমান পাবনার রাজনীতিতে একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছেন, এবং যুব ওGrassroots পর্যায়ের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে তাঁর অবদান প্রসংশিত হচ্ছে[7][11]।